গাজীপুরে রাতের অন্ধকারে অবৈধ গ্যাস সংযোগের হিড়িক,ভয়ে মুখ খোলেন না কেউ ! 431 0
গাজীপুরে রাতের অন্ধকারে অবৈধ গ্যাস সংযোগের হিড়িক,ভয়ে মুখ খোলেন না কেউ !
আশিকুর রহমান,গাজীপুর থেকে:
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৬ নং ওয়ার্ডে কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত রাস্তা খুঁড়ে রাতের আধারে ২৭টি বাড়িতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে মোটা অংকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে। গত বুধবার রাতে দিঘীর চালা,বারবৈকা এলাকায় ৩০ফুট প্রশস্ত আরসিসি ডালাইকৃত রাস্তা খুড়ে এ অবৈধ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্থানীয় বাসিন্দা।স্থানীয় আরও কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,ওরা অনেক ক্ষমতাধর এবং সংখ্যায় অনেক বেশি । তাদের বিরুদ্ধে কথা বললেই বিপদ । ইতিপূর্বে রাতের আধাঁরে অসংখ্য অবৈধ গ্যাসের সংযোগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা । নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিতাস গ্যাসের কয়েকজন বৈধ গ্রাহক বলেন,অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগের কারণে আমরা নিয়মিত গ্যাস পাচ্ছি না ।গ্যাসের অভাবে মাঝে মাঝে চুলায় আগুন জ্বালানো যায় না ।
তথ্য পেয়ে সরেজমিনে দেখা যায়,কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন রাস্তাটির তলদেশ ফাঁকা হওয়ার কারণে যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে । অসাধু চক্রটি গ্যাস সংযোগের জন্য রাস্তার তলদেশ খুঁড়ে প্রায় ৪ মিটার সুরঙ্গ তৈরির মাধ্যমে অনুমোদন বিহীন ২৭টি বাড়িতে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ প্রদান করেছে।
এদিকে উপরোক্ত অবৈধ গ্যাস সংযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে,শাহাদাৎ ফরাজী( ডিজিএম) তিতাস গ্যাস আঞ্চলিক অফিস,গাজীপুর বলেন,আমি নতুন জয়েন করেছি,ম্যানেজার নিপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন। তাৎক্ষনিকভাবে ম্যানেজার দায়িত্ব দেন এনফোর্সমেন্ট অফিসারকে,ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা দেখতে পান,সদ্য আরসিসি ঢালাইকৃত রাস্তার তলদেশে সুরঙ্গ করে কৌশলে অবৈধ সংযোগ দেওয়া হয়েছে ।এনফোর্সমেন্ট অফিসার জানান,গত মাসে অত্র এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সমস্ত অবৈধ সংযোগ কেটে দিয়েছিলাম । এবার অভিযানে ভিন্নতা আনতে হবে এবং সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে । ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে অতি উৎসাহী হয়ে আসাদ নামের এক ব্যক্তি গণমাধ্যমে এ ব্যাপারে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়,আসাদ নামের ওই ব্যক্তি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসার একান্ত সচিব। এ ব্যাপারে জানতে কাউন্সিলরের কার্যালয়ে একাধিকবার গিয়েও তার দেখা মেলেনি।এছাড়া বেশ কয়েকবার কাউন্সিলর মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসাকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায় ।
এভাবে অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে একটা অসাধু সংঘবদ্ধ চক্র রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুন্ঠন করছে আর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার ।